রাসেল ও শামীমার রিমান্ডে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

রাসেল ও শামীমার রিমান্ডে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

তবে আদালত তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে যেকোনো তিনদিন আসামিদের রিমান্ড হবে, রিমান্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানতে হবে এবং রাসেলের স্ত্রী অর্থাৎ শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নারী পুলিশের উপস্থিতি থাকতে হবে।

আদালতে, আসামিপক্ষের শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মনিরুজ্জামান আসাদ ও আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ আবু।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় রাসেলের সাথে অন্য মামলার পুরুষ আসামি থাকার কারণে তার স্ত্রীকে সেখান থেকে নামিয়ে বেঞ্চে বসানো হয়।

আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালত থেকে সময় চান মামলার এজাহারের কপি পড়ার জন্য।

আদালত বলেন, আপনার দায়িত্ব মামলার কপি নিয়ে এসে শুনানি করা। আমার দায়িত্ব শুনানি শোনা। এখন কেন মামলার কপি চাইছেন? আপনাকে সময় দিতে আমার আপত্তি নেই, তবে এটা দৃষ্টিকটু দেখায়।

পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের কাছ থেকে একটি মামলার কপি চেয়ে দেখার সুযোগ দেন।  মাঝের এই সময়টাতে অন্য মামলার শুনানি চলে। রিমান্ড শুনানি ও আদালতের আদেশ শেষে পুলিশের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গারদখানায় নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলা হওয়ার পর বিকেলেই রাসেলকে আটক করে র‌্যাব।

আপনি আরও পড়তে পারেন